রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির চলমান সংলাপে অংশ নেবে না বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এমনটিই জানিয়েছেন দলটির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম।
তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের নামে যা হচ্ছে তা হলো চা চক্র। আগেও আলোচনা হয়েছে, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। এই সংলাপে যাওয়া অর্থহীন। জাতীয় সরকার গঠনই সব সমস্যার সমাধান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার দুপুরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, রাষ্ট্রপতি ভালো মানুষ। কিন্তু তার কোনো ক্ষমতা নেই। তিনি সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। স্পিকার থেকে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, চা খেতে এবং জনগণের টাকা নষ্ট করতে বঙ্গভবনে যাব না।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিল অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন দল এলডিপি। আগামীকাল এই সংলাপ হওয়ার কথা রয়েছে।
নিজের আত্মসমালোচনা করে কর্নেল অলি বলেন, আজকে এই সংকটের পেছনে আমিও দায়ী। এ জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাই। ১৯৯১ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বাড়াতে যে প্রক্রিয়া হয়েছে, তাতে আমারও অনেক ভূমিকা ছিল। তখন যদি আমি বুঝতাম তা হলে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতাম।
অলি আহমদ বলেন, সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেকে বলেন, কেয়ারটেকার সরকার যাচ্ছেন। ক্ষমতায় যেতে এত তাড়াহুড়ো কেন? সব প্রতিষ্ঠানে ভারসাম্য আনতে কাজ করতে হবে।
এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, ড. নিয়ামুল বশির, অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ, সহসভাপতি ড. আবু জাফর সিদ্দিকী, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, বিলাল হোসেন মিয়াজি, অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মানিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।